প্রকাশনা তথ্য
প্রথম প্রকাশ
১৯৪৩ খ্রীস্টাব্দ
প্রথম বৈদ্যুতিন সংস্করণ
আষাঢ় ১৪২৯, জুন ২০২২
প্রচ্ছদ
প্রকাশক
সুনীল আকাশ আত্মপ্রকাশ কেন্দ্র (SAAP) প্রকাশনা,
1215-40, Gordonridge Place,
Scarborough, Ontario : M1K 4H8, Canada.
লেখক সম্পর্কে
শেখ ওয়াজেদ আলি (১৮৯০-১৯৫১) প্রাবন্ধিক, গল্পলেখক ও ভ্রমণকাহিনী রচয়িতা। ১৮৯০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শণ্ঠীরামপুর মহকুমার বড় তাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এস ওয়াজেদ আলি নামে সমধিক পরিচিত। তাঁর পিতা শেখ বেলায়েত আলী ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি শিলং-এ স্থায়িভাবে বসবাস করেন। ১৮৯৫ সালে বড় তাজপুর গ্রামের পাঠশালায় ওয়াজেদ আলীর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। পরে তিনি শিলং মোখার হাইস্কুলে ভর্তি হন এবং ১৯০৬ সালে স্বর্ণপদক লাভ করে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি আলীগড় কলেজ থেকে ১৯০৮ সালে আইএ এবং এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯১০ সালে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১২ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যান এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুনরায় বিএ ডিগ্রি ও বার-অ্যাট-ল সম্পন্ন করেন। ১৯১৫ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনব্যবসার মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯২৩ সালে তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সির ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হন এবং ১৯৪৫ সালে ওই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
এস ওয়াজেদ আলির প্রথম প্রবন্ধ ’অতীতের বোঝা’ ১৯১৯ সালে প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সবুজপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এস ওয়াজেদ আলী ১৯১৯ সালে Bulletin of the Indian Rationalistic Society নামে একটি ইংরেজি জার্নাল এবং ১৯৩২ সালে গুলিস্তাঁ নামে একটি বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। ১৯২৫ সালে তাঁর ছোটোগল্প ’রাজা’ ইসলাম দর্শন এ প্রকাশিত হয়। তিনি পরপর দুবার (১৯২৫ ও ১৯২৬) বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯২৭ সালে তিনি উক্ত সমিতির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবং একই বছর তাঁর ছোটোগল্পগ্রন্থ গুলদস্তা প্রকাশিত হয়। ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর তিনি কলকাতা এলবার্ট হলে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে গঠিত সংবর্ধনা কমিটির সভাপতি হিসেবে অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন। একই বছর তিনি ‘আসাম মুসলিম ছাত্র সমিতি’-র বার্ষিক সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩০ সালের এপ্রিলে তিনি নোয়াখালী মুসলিম ইন্সটিটিউটের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি সিরাজগঞ্জে অনুষ্ঠিত ‘নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনী’-তে সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন।
ওয়াজেদ আলী ছিলেন একজন উদার ও প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব। মননশীল চেতনা, ইতিহাস ও নীতিজ্ঞান এবং সত্য ও সুন্দরের মহিমায় তাঁর সাহিত্যকর্ম সমৃদ্ধ। তাঁর স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। লেখক হিসেবে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও ভ্রমণকাহিনী রচনায় তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।
প্রকাশিত গ্রন্থ
শেখ ওয়াজেদ আলি রচিত উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
প্রবন্ধ
জীবনের শিল্প (১৯৪১),
প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩),
ভবিষ্যতের বাঙালী (১৯৪৩),
আকবরের রাষ্ট্র সাধনা (১৯৪৯),
মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ;
গল্প
গুলদাস্তা (১৯২৭),
মাশুকের দরবার (১৯৩০),
বাদশাহী গল্প (১৯৪৪),
গল্পের মজলিশ (১৯৪৪);
উপন্যাস
গ্রানাডার শেষ বীর (১৯৪০);
ভ্রমণকাহিনী
পশ্চিম ভারত (১৯৪৮),
মোটর যোগে রাঁচী সফর (১৯৪৯)।
প্রবন্ধ
জীবনের শিল্প (১৯৪১),
প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩),
ভবিষ্যতের বাঙালী (১৯৪৩),
আকবরের রাষ্ট্র সাধনা (১৯৪৯),
মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ;
গল্প
গুলদাস্তা (১৯২৭),
মাশুকের দরবার (১৯৩০),
বাদশাহী গল্প (১৯৪৪),
গল্পের মজলিশ (১৯৪৪);
উপন্যাস
গ্রানাডার শেষ বীর (১৯৪০);
ভ্রমণকাহিনী
পশ্চিম ভারত (১৯৪৮),
মোটর যোগে রাঁচী সফর (১৯৪৯)।
Post a Comment