
প্রকাশনা তথ্য
প্রকাশকাল
প্রথম প্রকাশ - ২৫ বৈশাখ ১৩৬৭
প্রথম স্যাপ (SAAP) প্রকাশ ২০২৩
প্রথম বৈদ্যুতিন সংস্করণ
নভেম্বর ২০২৩, কার্তিক ১৪৩০
প্রচ্ছদ
প্রথম প্রকাশ - ২৫ বৈশাখ ১৩৬৭
প্রথম স্যাপ (SAAP) প্রকাশ ২০২৩
প্রথম বৈদ্যুতিন সংস্করণ
নভেম্বর ২০২৩, কার্তিক ১৪৩০
প্রচ্ছদ
প্রকাশক
সুনীল আকাশ আত্মপ্রকাশ কেন্দ্র (SAAP) প্রকাশনা,
1215-40, Gordonridge Place,
Scarborough, Ontario : M1K 4H8, Canada.
সুনীল আকাশ আত্মপ্রকাশ কেন্দ্র (SAAP) প্রকাশনা,
1215-40, Gordonridge Place,
Scarborough, Ontario : M1K 4H8, Canada.
লেখক সম্পর্কে
ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী (১৮৭৩-১৯৬০) সঙ্গীতশিল্পী, লেখক ও অনুবাদক। পিতা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতৃব্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর মাতা জ্ঞানদানন্দিনীও ছিলেন একজন বিদুষী মহিলা। চিন্তাচেতনা ও আদর্শগত দিক থেকে ইন্দিরা দেবী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ভাবশিষ্যা। সর্বসাধারণের নিকট তিনি ‘বিবিদি’ নামে পরিচিত ছিলেন। ১৮৭৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিতার কর্মস্থল দক্ষিণ ভারতের বিজাপুরে তাঁর জন্ম। ১৮৮১ সালে প্রথমে সিমলার অকল্যান্ড হাউজে এবং পরে কলকাতার লোরেটা হাউজে পড়াশোনা করেন। ১৮৮৭ সালে তিনি এন্ট্রান্স ও পরে এফএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৯২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করে তিনি ‘পদ্মাবতী’ স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। ট্রিনিটি কলেজ অব মিউজিক থেকে তিনি ডিপ্লোমা অর্জন করেন এবং বাদ্রিদাস মুকুলের নিকট উচ্চাঙ্গসঙ্গীত (কণ্ঠ) শিক্ষা করেন। ১৮৯৯ সালে তিনি প্রমথ চৌধুরীর সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।
অনুবাদক হিসেবে ইন্দিরা দেবী অল্পবয়সেই খ্যাতি অর্জন করেন। কৈশোরে তিনি রবীন্দ্রনাথ পরিচালিত ও মাতা জ্ঞানদানন্দিনী সম্পাদিত বালক পত্রিকায় রাস্কিনের রচনার বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন। পরে ফরাসি শিখে তিনি রেনে গ্রুসের ভারতবর্ষ, পিয়ের লোতির কমল কুমারিকাশ্রম এবং মাদাম লেভির ভারতভ্রমণ কাহিনী অনুবাদ করেন। রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধসহ জাপানযাত্রীর ডায়রী-র ইংরেজি অনুবাদও তিনি প্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে বামাবোধিনী, বঙ্গলক্ষ্মী, সাধনা, পরিচয়, সবুজপত্র প্রভৃতি পত্রিকায় সঙ্গীত ও সাহিত্যবিষয়ে তাঁর অনেক মৌলিক রচনা প্রকাশিত হয়। বঙ্গনারীর শুভাশুভ বিষয়ে তাঁর মতামত ‘নারীর উক্তি’ নামক প্রবন্ধে বিধৃত হয়েছে। ইন্দিরা দেবী রবীন্দ্রসঙ্গীতে এবং পিয়ানো, বেহালা ও সেতারবাদনে পারদর্শিনী ছিলেন। রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি রচনা তাঁর এক অমর কীর্তি। ‘মায়ার খেলা’, ‘ভানুসিংহের পদাবলী’, ‘কালমৃগয়া’ প্রভৃতিসহ আরও দুশো রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি রচনা এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতের বহু স্বরলিপি গ্রন্থ তিনি সম্পাদনা করেন।
তাঁর কণ্ঠধৃত সুরে রবীন্দ্রনাথ অনেকগুলি গানও রচনা করেছেন। মহিলাদের সঙ্গীতসঙ্ঘের মুখপত্র আনন্দ সঙ্গীত পত্রিকার তিনি অন্যতম যুগ্ম সম্পাদিকা ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে যুক্তভাবে লিখিত হিন্দুসঙ্গীত তাঁর সঙ্গীতচিন্তার পরিচায়ক। তাঁর নিজের রচিত কিছু গান স্বরলিপিসহ সুরঙ্গমা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর স্বামীর সঙ্গে তিনি শান্তিনিকেতনে স্থায়িভাবে বসবাস করেন এবং তখন থেকেই শান্তিনিকেতনের সঙ্গীতভবনে নিয়মিত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষাদান করেন।
শান্তিনিকেতনে ইন্দিরা দেবী ‘আলাপনী মহিলা সমিতি’ প্রতিষ্ঠা ও তার মুখপত্র ঘরোয়া প্রকাশ করেন। মহিলা কল্যাণে গঠিত ‘বেঙ্গল উইমেন্স এডুকেশন লীগ’, ‘অল ইন্ডিয়া উইমেন্স কনফারেন্স’, ‘হিরণ্ময়ী বিধবা আশ্রম’ ইত্যাদি সংগঠনের সভানেত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেন।
ইন্দিরা দেবীর কয়েকটি মৌলিক রচনা হলো:
১৯৪৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘ভুবনমোহিনী’ স্বর্ণপদক, ১৯৫৭ সালে বিশ্বভারতী ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি এবং ১৯৫৯ সালে রবীন্দ্রভারতী সমিতি প্রথমবারের মতো ‘রবীন্দ্রপুরস্কার’-এ ভূষিত করে। ১৯৬০ সালের ১২ আগস্ট তিনি মারা যান।
সূত্র :
পূজনীয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর পুণ্যস্মৃতির প্রতি বিনীত শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবার উদ্দেশ্যে এই স্মৃতিকথা রচিত। শ্রীযুক্ত সত্যেন্দ্রনাথ বসু মহাশয়ের সোৎসাহ প্ররোচনায় এর উৎপত্তি ও কল্যাণীয় শ্রীমান শুভময় ঘোষের সযত্ন অনুলিখনে এর পরিসমাপ্তি। প্রায় পৌনে শতাব্দীর স্মৃতির জটিল জালকে সংগীতস্মৃতি নাট্যস্মৃতি সাহিত্যস্মৃতি প্রভৃতি কয়েকটি অধ্যায়ে ভাগ করেছি।
অনুবাদক হিসেবে ইন্দিরা দেবী অল্পবয়সেই খ্যাতি অর্জন করেন। কৈশোরে তিনি রবীন্দ্রনাথ পরিচালিত ও মাতা জ্ঞানদানন্দিনী সম্পাদিত বালক পত্রিকায় রাস্কিনের রচনার বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন। পরে ফরাসি শিখে তিনি রেনে গ্রুসের ভারতবর্ষ, পিয়ের লোতির কমল কুমারিকাশ্রম এবং মাদাম লেভির ভারতভ্রমণ কাহিনী অনুবাদ করেন। রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধসহ জাপানযাত্রীর ডায়রী-র ইংরেজি অনুবাদও তিনি প্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে বামাবোধিনী, বঙ্গলক্ষ্মী, সাধনা, পরিচয়, সবুজপত্র প্রভৃতি পত্রিকায় সঙ্গীত ও সাহিত্যবিষয়ে তাঁর অনেক মৌলিক রচনা প্রকাশিত হয়। বঙ্গনারীর শুভাশুভ বিষয়ে তাঁর মতামত ‘নারীর উক্তি’ নামক প্রবন্ধে বিধৃত হয়েছে। ইন্দিরা দেবী রবীন্দ্রসঙ্গীতে এবং পিয়ানো, বেহালা ও সেতারবাদনে পারদর্শিনী ছিলেন। রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি রচনা তাঁর এক অমর কীর্তি। ‘মায়ার খেলা’, ‘ভানুসিংহের পদাবলী’, ‘কালমৃগয়া’ প্রভৃতিসহ আরও দুশো রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি রচনা এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতের বহু স্বরলিপি গ্রন্থ তিনি সম্পাদনা করেন।
তাঁর কণ্ঠধৃত সুরে রবীন্দ্রনাথ অনেকগুলি গানও রচনা করেছেন। মহিলাদের সঙ্গীতসঙ্ঘের মুখপত্র আনন্দ সঙ্গীত পত্রিকার তিনি অন্যতম যুগ্ম সম্পাদিকা ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে যুক্তভাবে লিখিত হিন্দুসঙ্গীত তাঁর সঙ্গীতচিন্তার পরিচায়ক। তাঁর নিজের রচিত কিছু গান স্বরলিপিসহ সুরঙ্গমা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর স্বামীর সঙ্গে তিনি শান্তিনিকেতনে স্থায়িভাবে বসবাস করেন এবং তখন থেকেই শান্তিনিকেতনের সঙ্গীতভবনে নিয়মিত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষাদান করেন।
শান্তিনিকেতনে ইন্দিরা দেবী ‘আলাপনী মহিলা সমিতি’ প্রতিষ্ঠা ও তার মুখপত্র ঘরোয়া প্রকাশ করেন। মহিলা কল্যাণে গঠিত ‘বেঙ্গল উইমেন্স এডুকেশন লীগ’, ‘অল ইন্ডিয়া উইমেন্স কনফারেন্স’, ‘হিরণ্ময়ী বিধবা আশ্রম’ ইত্যাদি সংগঠনের সভানেত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেন।
ইন্দিরা দেবীর কয়েকটি মৌলিক রচনা হলো:
১৯৪৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘ভুবনমোহিনী’ স্বর্ণপদক, ১৯৫৭ সালে বিশ্বভারতী ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি এবং ১৯৫৯ সালে রবীন্দ্রভারতী সমিতি প্রথমবারের মতো ‘রবীন্দ্রপুরস্কার’-এ ভূষিত করে। ১৯৬০ সালের ১২ আগস্ট তিনি মারা যান।
সূত্র :
ভূমিকা
পূজনীয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর পুণ্যস্মৃতির প্রতি বিনীত শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবার উদ্দেশ্যে এই স্মৃতিকথা রচিত। শ্রীযুক্ত সত্যেন্দ্রনাথ বসু মহাশয়ের সোৎসাহ প্ররোচনায় এর উৎপত্তি ও কল্যাণীয় শ্রীমান শুভময় ঘোষের সযত্ন অনুলিখনে এর পরিসমাপ্তি। প্রায় পৌনে শতাব্দীর স্মৃতির জটিল জালকে সংগীতস্মৃতি নাট্যস্মৃতি সাহিত্যস্মৃতি প্রভৃতি কয়েকটি অধ্যায়ে ভাগ করেছি।
ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী
প্রকাশিত গ্রন্থ
ইন্দিরা দেবীর কয়েকটি মৌলিক রচনা হল:
শ্রুতি স্মৃতি,
রবীন্দ্রসঙ্গীতে ত্রিবেণী সঙ্গম (১৯৫৪)
ও রবীন্দ্রস্মৃতি (৫ খন্ড, ১৯৫৯)।
তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
নারীর উক্তি (১৯২০),
বাংলার স্ত্রী-আচার (১৯৫৬),
স্মৃতিকথা, পুরাতনী (১৯৫৭)
ও গীতপঞ্চশতী।
শ্রুতি স্মৃতি,
রবীন্দ্রসঙ্গীতে ত্রিবেণী সঙ্গম (১৯৫৪)
ও রবীন্দ্রস্মৃতি (৫ খন্ড, ১৯৫৯)।
তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
নারীর উক্তি (১৯২০),
বাংলার স্ত্রী-আচার (১৯৫৬),
স্মৃতিকথা, পুরাতনী (১৯৫৭)
ও গীতপঞ্চশতী।
Post a Comment