কালো বরফ - মাহমুদুল হক

kalo-borof-mahmudul-haque



কালো বরফ
মাহমুদুল হক

kalo-borof-mahmudul-haque-promo-apple


kalo-borof-mahmudul-haque-promo-kindle





প্রকাশনা তথ্য


প্রকাশকাল
প্রথম প্রকাশ
২১-৩০ আগস্ট ১৯৭৭

প্রথম বৈদ্যুতিন সংস্করণ
মাঘ ১৪২৯, জানুয়ারি ২০২৩


প্রচ্ছদ



প্রকাশক
সুনীল আকাশ আত্মপ্রকাশ কেন্দ্র (SAAP) প্রকাশনা,
1215-40, Gordonridge Place,
Scarborough, Ontario : M1K 4H8, Canada.


                                                                                                                     
লেখক সম্পর্কে
মাহমুদুল হক (১৬ নভেম্বর ১৯৪১ – ২১ জুলাই ২০০৮) একজন বাংলাদেশি লেখক। তাকে বাংলা সাহিত্যের একজন শক্তিমান কথাশিল্পী বলা হয়ে থাকে। তার লেখনশৈলী ও শব্দচয়নের মুনশিয়ানা চমকপ্রদ। তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

মাহমুদুল হক ১৯৪১ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম, মায়ের নাম মাহমুদা বেগম। ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময় পর পিতা সরকারের উচ্চপদে চাকরিসূত্রে পূর্ব পাকিস্তানে যোগদান করেন এবং বেশ পরে তিনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ১৯৫১ সালে আজিমপুরে বসবাস শুরু করেন। তিনি ছয় ভাই চার বোনের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন।

মাহমুদুল হকের পড়ালেখার হাতেখড়ি হয়েছিল বারাসাতের কালীকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৫২ সালে ঢাকার লালবাগের ওয়েস্ট এন্ড স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন। রাতকানা রোগের কারণে মাঝখানে কিছুদিন তিনি পড়ালেখায় বিরতি দেন। পরে তিনি ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরে তিনি জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হলেও পড়ালেখার চেয়ে আড্ডাবাজিতে মগ্ন হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার ইতি ঘটান। দৈনিক সংবাদ পত্রিকার অনুবাদক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু তিন মাসের মাথায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রথমে মনোহারি, পরে জুয়েলারি ব্যবসার সাথে যুক্ত হন। পরে অবশ্য মীজানুর রহমান এবং প্রতাপউদ্দিনের সাথে মিলে ‘গাঙচিল প্রেস’ প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৬৭ সালে; কিন্তু এ ব্যবসাও তার টেকে নি।

মাহমুদুল হকের শিক্ষক ছিলেন কথাশিল্পী শহীদ সাবের। তার প্রত্যক্ষ প্রেরণায় তিনি সাহিত্যের সাথে যুক্ত হন এবং প্রথমে ‘অগ্রগামী’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন। পত্রিকাটির মাত্র ৩টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। মাহমুদুল হক যখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তখন ‘রেড হর্নেট’ (১৯৫৪) ডিটেকটিভ উপন্যাস রচনা করেন। এ সময় তিনি ‘অরণ্য বাসর’ ও ‘আমি সম্রাট’ নামি দুটি রোমাঞ্চধর্মী উপন্যাসও লিখেছিলেন। তবে তিনি ১৯৮৪ সালের পর আর লেখালেখি করেন নি।




মাহমুদুল হকের উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ


উপন্যাস গল্প-সংকলন
অনুর পাঠশালা (১৯৬৭ প্রতিদিন একটি রুমাল (১৯৯৪)
নিরাপদ তন্দ্রা (১৯৬৮) মাহমুদুল হকের নির্বাচিত গল্প (১৯৯৯)
জীবন আমার বোন (১৯৭২) মানুষ মানুষ খেলা (২০০৯)
কালো বরফ (১৯৭৭) অগ্রন্থিত গল্প
[সং ও সম্পা. আবু হেনা মোস্তফা এনাম] (২০১০)
অশরীরী (১৯৭৯)
পাতালপুরী (১৯৮১)
খেলাঘর (১৯৮৮))
মাটির জাহাজ (১৯৭৭)


শিশুতোষ উপন্যাস
চিক্কোর কাবুক (১৯৭৯)

অনুবাদগ্রন্থ
পল হোরগ্যানের নির্বাচিত গল্প, দ্বিতীয় খণ্ড (১৯৬৯)
শ্বাপদ (১৯৭০)
যুদ্ধ যখন শেষ হলো (১৯৭২)

প্রবন্ধ/স্মৃতিকথা
বিড়ালের মামী [সৈনিক পত্রিকায় মুদ্রিত] (১৯৫৪)
কি লিখবে? [সৈনিক পত্রিকায় মুদ্রিত] (১৯৫৪)
মোহিনী হীরকের কাহিনী [সচিত্র সন্ধানী পত্রিকায় মুদ্রিত] (১৯৭৮)
ভয়াবহ কবরখানা [ধ্রুপদী পত্রিকায় মুদ্রিত] (১৯৮৫)
প্রথম সম্পাদক [আহসান হাবীব স্মারক-গ্রন্থে মুদ্রিত] (১৯৮৭)
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি [জীবনানন্দ পত্রিকায় মুদ্রিত] (১৯৯৫)

রচনাবলি
মাহমুদুল হক রচনাবলি: প্রথম খণ্ড
মাহমুদুল হক রচনাবলি: দ্বিতীয় খণ্ড
মাহমুদুল হক রচনাবলি: তৃতীয় খণ্ড

মাহমুদুল হক শিশুদের কাগজ আলাপনী, শাহীন সেতারা প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন।
তাঁর সাড়া জাগানো উপন্যাস—
‘খেলাঘর’
২০০৬ সালে চলচ্চিত্ররূপ পায়।

Share:

Post a Comment

Copyright © SAAP Publication.