ফণীশ্বরনাথ মণ্ডল (৪ঠা মার্চ ১৯২১ — ১১ এপ্রিল, ১৯৭৭) একজন হিন্দি প্রগতিশীল সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় সাহিত্যিক এবং ঔপন্যাসিক। জন্ম বিহারের পূর্নিয়া জেলার ওরাহিতে। তার পিতা শীলানাথ মন্ডলের কাছেই তিনি প্রাথমিক লেখাপড়া করেন। নেপালের কৈরালা পরিবারে থাকাকালীন সেদেশের বিরাটনগর হতে ম্যাট্রিক পাশ করেন। কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন।
১৯৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগদান করে কারাবাস হয়। ভাগলপুর সেন্ট্রাল জেলে তিনিসহ রাজবন্দী ছিলেন সতীনাথ ভাদুড়ী। ১৯৫০ সালে নেপালের রানাশাহীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনেও অংশ নিয়েছেন। বিহারের প্রগতিশীল লেখক সংঘে জড়িত ছিলেন। জীবনের শেষ লগ্নে তিনি জরুরী অবস্থানকালীন জয়প্রকাশ নারায়নের আন্দোলনের সাথেও যুক্ত হন এবং জেলে যান। জরুরী অবস্থা ও শিল্পী সাহিত্যিকদের কন্ঠরোধের প্রতিবাদস্বরূপ তার প্রাপ্ত পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে দেন ও স্বাধীনতা সংগ্রামী ভাতা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
এই সাহিত্যিক ১১ এপ্রিল, ১৯৭৭ মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর সাহিত্য সম্পর্কে
ফণীশ্বর নাথ রেনু
তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ময়লি আঁচল প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ খৃষ্টাব্দে। এই সাহিত্যকর্ম তাকে সার্বিক পরিচিতি এনে দেয়। ‘ময়লি আঁচল’ বাংলা (ময়লা আঁচল) ছাড়াও অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এই কাহিনীর পরবর্তী অংশ ‘পরতী পরিকথা’। চাকরিজীবী মহিলাদের নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘দীর্ঘতপা’ একসময় পাটনায় বিতর্কের সৃষ্টি করে। গ্রামীণ মানুষের বঞ্চনা ও শোষন ছিল তার কাহিনীর উপজীব্য বিষয়। তাঁর ছোটোগল্প ছোট ও বড় পর্দায় চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। প্রথম জীবনে কবিতা লিখতেন। স্মৃতিকথা, রিপোর্টাজ ইত্যাদিও লিখেছেন। ‘আদিম রাত্রি কি মহক’ ও ‘ঠুমরী’ হল তার ছোটোগল্প সংকলন।
সাহিত্যিক সতীনাথ ভাদুড়ীর সাথে হৃদ্যতার সম্পর্ক ছিল। তিনি সতীনাথ ভাদুড়ীকে নিয়ে বাংলায় ‘ভাদুড়ীজি’ নামে দীর্ঘ স্মৃতিকথা রচনা করেন।
বাংলার হাংরি সাহিত্য আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি।
: গল্পসূচী :
হরতনের বিবি
জলুস এক আদিম রাত্রির গন্ধ
তিন বিন্দু
একটি অকাহিনীর চরিত্র
আত্ম সাক্ষী
হাতের যশ আর কথার সত্য
আগুন খেকো
Post a Comment