জাগরী - সতীনাথ ভাদুড়ী

Jagari Satinath Bhaduri



প্রকাশনা তথ্য


প্রথম প্রকাশ
প্রথম প্রকাশ - ১৯৪৫
প্রথম স্যাপ (SAAP) প্রকাশ ২০২২


প্রথম বৈদ্যুতিন সংস্করণ
ভাদ্র ১৪২৯, আগস্ট ২০২২


প্রচ্ছদ


প্রকাশক
সুনীল আকাশ আত্মপ্রকাশ কেন্দ্র (SAAP) প্রকাশনা,
1215-40, Gordonridge Place,
Scarborough, Ontario : M1K 4H8, Canada.






                                                                                                                     
লেখক সম্পর্কে

১৯০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর (১১ আশ্বিন, ১৩১৩ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার) বিজয়াদশমীর দিন সন্ধ্যায় তদনীন্তন বাংলা প্রদেশের পূর্ণিয়ার (অধুনা ভারতের বিহার রাজ্যের অন্তর্গত) ভট্টাবাজারে সতীনাথ ভাদুড়ী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ইন্দুভূষণ ভাদুড়ী (১৮৬৯-১৯৪৪) ও রাজবালা দেবীর ষষ্ঠ সন্তান। সতীনাথেরা ছিলেন তিন ভাই ও পাঁচ বোন; ভাইদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। সতীনাথ তাঁর জ্যেষ্ঠভ্রাতা ভূতনাথ ভাদুড়ীর বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন।

সতীনাথের পিতা ইন্দুভূষণ ভাদুড়ীর আদি নিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত কৃষ্ণনগরে। এঁদের পূর্বপুরুষ সুধাময় খাঁ লাহিড়ী ছিলেন কৃষ্ণনগরের সম্পন্ন শিক্ষিত ব্যক্তিত্ব। ইন্দুভূষণের মাতা মুক্তাকেশী দেবী ছিলেন রামতনু লাহিড়ীর ভ্রাতুষ্পুত্রী এবং একজন সংস্কৃতি-মনস্কা মহিলা। ইন্দুভূষণ ১৮৯০ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর কিছুকাল দুই ভাই চন্দ্রভূষণ ও জ্যোতিভূষণের সঙ্গে একযোগে অধ্যাপনাও করেন। পরে আইন পাস করে আত্মীয় ভুবনমোহন সান্যালের পরামর্শক্রমে ১৮৯৬ সালে পূর্ণিয়া চলে আসেন এবং সেখানকার আদালতে ওকালতি শুরু করেন। নিজের চেষ্টায় অল্পদিনের মধ্যেই সে ব্যবসায়ে সাফল্যও অর্জন করেন। ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ণিয়া আদালতে ওকালতি করেছিলেন। এর মধ্যে ১৯৩২ থেকে ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুত্র সতীনাথও তাঁকে ওকালতি ব্যবসায়ে সহায়তা করতেন। বিশিষ্ট হিন্দি কথাসাহিত্যিক ফণীশ্বরনাথ রেণু ছিলেন সতীনাথের বাল্যবন্ধু। সতীনাথ ও ফণীশ্বরনাথের পিতারা ছিলেন কর্মসূত্রে একে অপরের বিশেষ পরিচিত। সতীনাথের মা রাজবালা দেবী ছিলেন হরিমোহন লাহিড়ীর কন্যা। বাবার চেয়ে মায়ের সঙ্গেই সতীনাথ ও তাঁর ভাইবোনেদের বেশি ঘনিষ্ঠতা ছিল। শৈশবে সতীনাথ বেশি অসুখবিসুখে ভুগেছিলেন। দু’বার নিউমোনিয়া ও প্রায়শই জ্বরে আক্রান্ত হতেন বলে দুর্বল সন্তানের প্রতি রাজবালা দেবীর মনোযোগও ছিল অধিক।

সতীনাথের বিদ্যালয় শিক্ষার সূত্রপাত পূর্ণিয়া জেলা স্কুলে। ১৯২৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি পাটনার সায়েন্স কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন এবং ১৯২৮ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। এই বছরই তাঁর মা রাজবালা দেবীর মৃত্যু ঘটে। এরপর ১৯৩০ সালে সতীনাথ অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পরের বছর পাটনা ল কলেজ থেকে বিএল পাস করেন।

১৯৩২ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত সতীনাথ বাবার সহকর্মী রূপে পূর্ণিয়া আদালতে ওকালতি করেন। এই সময় তিনি বলিপ্রথা রদ ও মদের দোকানে পিকেটিং আন্দোলনের মতো বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে বই সংগ্রহ করে পূর্ণিয়া গ্রন্থাগার স্থাপনেও অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন সতীনাথ। পরবর্তীকালে এই গ্রন্থাগারটির নাম সতীনাথের পিতার নামানুসারে রাখা হয় ইন্দুভূষণ সাধারণ গ্রন্থাগার। প্রায় একক উদ্যোগেই তিনি পূর্ণিয়ায় বাংলা পত্রিকা ক্লাব গঠন করেন এবং সাহিত্য পাঠ, স্মরণশক্তি প্রতিযোগিতা, সাহিত্যিকদের আড্ডা প্রভৃতির প্রচলন ঘটান। এই সূত্রেই তিনি বিশিষ্ট সাহিত্যিক কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য লাভ করেন। ইতিমধ্যে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সক্রিয়ভাবে অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। এই সময় পুলিশের চোখ এড়িয়ে গভীর রাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দিতেন। ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবারের জন্য কারারুদ্ধ হন সতীনাথ। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় দ্বিতীয়বার কারাবাসকালে তিনি জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাই তাঁকে ভাগলপুরের সেন্ট্রাল জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। এই সময়টিই ছিল তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস জাগরী রচনার প্রস্তুতিকাল। ১৯৪৪ সালে তৃতীয় কারাবাসকালে তাঁর সঙ্গী ছিলেন ফণীশ্বরনাথ রেণু, অনাথবন্ধু বসু, ফণীগোপাল সেন, জয়প্রকাশ নারায়ণ, শ্রীকৃষ্ণ সিংহ, অনুগ্রহ নারায়ণ সিংহ প্রমুখেরা। এরপর ১৯৪৫ সালে প্রকাশিত হয় জাগরী।

স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় সতীনাথ ভাদুড়ী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী এবং পূর্ণিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি ও দলাদলিতে অতিষ্ট হয়ে ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে তিনি সমাজতন্ত্রী দলে যোগ দেন। এক পুরনো গ্রামীন পার্টিকর্মীর কাছে কংগ্রেস ছাড়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, কংগ্রেসের কাজ ছিল স্বাধীনতা অর্জন করা; সেই কাজ সম্পূর্ণ। এখন ‘রাজকার্য’ ছাড়া আর কংগ্রেসের কোনও কাজ নেই।

কংগ্রেস ত্যাগের পর সতীনাথ পূর্ণিয়ায় কিশোর ও যুবকদের জন্য ব্যায়ামাগার গঠন করেন এবং শনিবারের সাহিত্যবাসর পরিচালনা করতে থাকেন। ১৯৪৯ সালে তিনি প্যারিসে যান; কিন্তু ছাড়পত্রের অভাবে স্পেন ও সোভিয়েত রাশিয়ায় যেতে পারেননি। বিদেশে থাকাকালীনই ১৯৫০ সালে তিনি জাগরী উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ পান। তিনি এবং নীহাররঞ্জন রায় ছিলেন এই পুরস্কারের প্রথম প্রাপক। সেই বছরই দেশে ফিরে আসেন সতীনাথ। তাঁর সত্যি ভ্রমণকাহিনী বইটি এই সময় রচিত হয়। বিশিষ্ট হিন্দি সাহিত্যিক ফণীশ্বরনাথ রেণু তাঁর জীবনীমূলক স্মৃতিকথা ভাদুড়ীজী রচনা করেন, যা হিন্দি সাহিত্যে একটি বিশিষ্ট গ্রন্থ।

১৯৬৫ সালের ৩০ মার্চ মাত্র আটান্ন বছর বয়সে পূর্ণিয়াতেই সতীনাথ ভাদুড়ীর মৃত্যু ঘটে।

উপন্যাস সম্পর্কে

জাগরী
জাগরী (১৯৪৫) সতীনাথ ভাদুড়ীর প্রথম উপন্যাস। গঠনকৌশল, চরিত্র-সৃষ্টি ও বিষয়বস্তুর সকল দিক থেকেই এটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। উপন্যাসটির উপজীব্য বিষয় হল রাজনীতির আবর্তে এক পরিবারের বাবা, মা ও দুই পুত্রের কথা। এক পুত্রের সাক্ষ্যের ফলে আরেক পুত্রের মৃত্যুদণ্ডের আগের রাতের ঘটনা চারটি চরিত্রের স্বগতোক্তির মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠেছে।

ঢোঁড়াই চরিত মানস
দুই খণ্ডে প্রকাশিত ঢোঁড়াই চরিত মানস (১৯৪৯-৫১) উপন্যাসের পটভূমি বিহারের জিরনিয়া শহরের অদূরে তাৎমাটুলি। জাতে তাঁতি এই তাৎমাদের বৃত্তি ঘরামি ও কুয়োর বালি ছাঁকা। পাশের ধাঙ্গড়টুলিতে বড়ো হওয়া পরিত্যক্ত অনাথ বালক ঢোঁড়াই এই উপন্যাসের নায়ক। স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ পর্বের প্রেক্ষাপটে রচিত এই উপন্যাসে লেখক নায়ক ঢোঁড়াইকে করে তুলেছেন রামচন্দ্রের আধুনিক সংস্করণ। রাজনৈতিক চেতনা সমাজের নিচুতলায় প্রবেশ করে কীভাবে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয় এবং ঢোঁড়াইকে “রামায়ণজী”-তে পরিণত করে, তা-ই এই উপন্যাসের উপজীব্য। শিশিরকুমার দাশের মতে, “এই কাহিনীতে অন্তর্লীন হয়ে আছে তুলসীদাসের রামচরিতমানস। রাজনীতি ও সমাজ পরিবর্তন ও সমাজের অন্ত্যজ মানুষের বিশ্বস্ত রূপায়ণ এবং রামচরিতমানসের সঙ্গে আধুনিক কাহিনীর অন্তর্বয়ন এই তিনদিক থেকে এই আখ্যান বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলির অন্যতম।”

শেষ পর্যায়ের উপন্যাসত্রয়ী
অধ্যাপক অরুণকুমার মুখোপাধ্যায় অচিন রাগিণী (১৯৫৪), সংকট (১৯৫৭) ও দিগভ্রান্ত (১৯৬৬) উপন্যাস তিনটিকে সতীনাথ ভাদুড়ীর “শেষ পর্যায়ের উপন্যাসত্রয়ী” আখ্যা দিয়েছেন। ঢোঁড়াই চরিত মানস রচনার পর আত্মতুষ্ট হতে না পেরে সতীনাথ এই তিনটি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এই উপন্যাসগুলিকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অরুণকুমার লিখেছেন, “চেতনলোক থেকে অবচেতনলোকে চরিত্রের নিঃসঙ্গ যাত্রা, বিচ্ছিন্নতাবোধ ও বিষাদে আক্রান্ত চরিত্রের কন্ফেস্যন্, অন্তঃসংলাপ, চিন্তার আপাত খাপছাড়া অনুষঙ্গ ও স্বেচ্ছাবিহারের আড়ালে সংলগ্ন আত্মকথন, আপাত শিথিল-গ্রথিত মুহুর্তের সমাহারে এক অখণ্ড জীবনবোধ, ব্যক্তির বিচ্ছিন্নতাবোধ ও নিঃসঙ্গতার সঙ্গে অপর ব্যক্তি ও সমাজের অদৃশ্য সংগ্রাম, জীবনের অসামঞ্জস্য ও অসঙ্গতির মধ্যে নতুন অর্থান্বেষণ, বাইরের সমাজ ও ঘটনার গুরুত্ব অস্বীকার, আধুনিক জীবনের ভিতরের রোগ নির্ণয় ও বিশ্লেষণ, মনোগহনের জটিল আঁধারে সন্ধানী আলো-নিক্ষেপ, সময় ও স্মৃতি সমবায়ে গঠিত এক নতুন শিল্প জগৎ সতীনাথের শেষ উপন্যাসত্রয়ীতে রূপ পেয়েছে।” সেই সঙ্গে অরুণকুমার এই তিন উপন্যাসে শিল্পকৌশল প্রচ্ছন্ন রাখা প্রসঙ্গে লেখেন, “তিনি শিল্পকৌশলকে এমনভাবে প্রচ্ছন্ন রেখেছেন যে তা ধরাই যায় না। কতো অনায়াসভঙ্গিতে তিনি পাঠককে এক জটিল মনোজগতে নিয়ে যান, তা পাঠক টের পান না। যখন তা টের পাওয়া যায়, তখন পাঠক সেই জগতের চিন্তার অংশীদার হয়ে যান।”

অচিন রাগিণী উপন্যাসটি পাতানো নতুন-দিদিমার সঙ্গে দুই কিশোর পিলে ও তুলসীর “টানভালোবাসার গল্প”। এই উপন্যাসে কাহিনী মূল্যহীন; এর মূল্য উক্ত তিন চরিত্রের পারস্পরিক সম্পর্কের বিশ্লেষণে। সংকট উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বিশ্বাসজীর উপর সতীনাথ ভাদুড়ীর নিজের চরিত্রের ছায়া পড়েছে। উপন্যাসটির উপজীব্য একদা রাজনৈতিক কর্মী বিশ্বাসজীর আত্মানুসন্ধান। অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে এই আত্মানুসন্ধানের মধ্যে পাশ্চাত্য উপন্যাসের নায়কের আত্মানুসন্ধানের মিল পাওয়া যায়। দিগভ্রান্ত উপন্যাসটি আধুনিক মানুষের বিচ্ছিন্নতাবোধ ও নিঃসঙ্গতা এবং বিষাদ ও নৈরাশ্য থেকে সঙ্গলাভ ও আশায় উত্তরণের কাহিনি। ডাক্তার সুবোধ মুখোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী অতসীবালা ও দুই ছেলেমেয়ে মণি ও সুশীলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই উপন্যাসে আপাতদৃষ্টিতে আখ্যানভাগ নির্মাণে লেখকের মনোযোগ ধরা পড়েছে। আধুনিক সমাজে মানুষ পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে কতটা দিগভ্রান্ত তারই অনুপূঙ্খ বিশ্লেষণ পাওয়া যায় এই উপন্যাসে।

প্রকাশিত গ্রন্থ

সতীনাথ ভাদুড়ীর উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:


উপন্যাস

জাগরী (৪ অক্টোবর, ১৯৪৫): প্রথম প্রকাশিত হয় সমবায় পাবলিশার্স থেকে। পরে বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে দ্বিতীয় মুদ্রণ এবং প্রকাশভবন থেকে একাধিক সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৪৮ সালের জুলাই মাসে বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে এই উপন্যাসের একটি কিশোর সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

চিত্রগুপ্তের ফাইল (সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯): বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত।

ঢোঁড়াই চরিত মানস, প্রথম চরণ (১৯৪৯): বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত।

ঢোঁড়াই চরিত মানস, দ্বিতীয় চরণ (১৯৫১): বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত।

অচিন রাগিনী (নভেম্বর, ১৯৫৪): বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত।

সংকট (জুন, ১৯৫৭): বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত।

দিকভ্রান্ত (১৯৬৬): লেখকের মৃত্যুর পর প্রকাশভবন থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়।

গল্প-সংকলন

গণনায়ক (১৯৪৮): বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংকলনের অন্তর্গত গল্পগুলি হল: “গণনায়ক”, “বন্যা”, “আন্টাবাংলা”, “পঙ্কতিলক” ও “ভূত”।

অপরিচিতা (সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪): বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংকলনের অন্তর্গত গল্পগুলি হল: “অপরিচিতা”, “পরিচিতা”, “ফেরবার পথ”, “রথের তলে”, “ষড়যন্ত্র”, “মামলার রায়”, “অত্যাবশ্যক” ও “ঈর্ষা”।

চকাচকী (অগস্ট, ১৯৫৬): প্রকাশভবন থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংকলনের অন্তর্গত গল্পগুলি হল: “চকাচকী”, “বৈয়াকরণ”, “ডাকাতের মা”, “বিবেকের গণ্ডী”, “মুষ্টিযোগ”, “রাজকবি”, “মুনাফা ঠাকরুণ” ও “তবে কি”।

পত্রলেখার বাবা (মার্চ, ১৯৫৯): প্রকাশভবন থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংকলনের অন্তর্গত গল্পগুলি হল: “পত্রলেখার বাবা”, “কম্যান্ডার ইন চিফ”, “বাহাত্তুরে”, “কণ্ঠকণ্ডুত্তি”, “সাঁঝের শীতল”, “একটি কিংবদন্তীর জন্ম”, “পূতিগন্ধ”, “অভিজ্ঞতা” ও “ধস”।

জলভ্রমি (এপ্রিল, ১৯৬২): বাকসাহিত্য থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংকলনের অন্তর্গত গল্পগুলি হল: “মহিলা ইনচার্জ”, “কৃষ্ণকলি”, “জলভ্রমি”, “স্বর্গের স্বাদ”, “চরণদাস এম.এল.এ.”, “দাম্পত্য সীমান্তে”, “দুই অপরাধী”, “পদাঙ্ক” ও “হিসাবনিকাশ”।

আলোকদৃষ্টি (মার্চ, ১৯৬৪): বাকসাহিত্য থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংকলনের অন্তর্গত গল্পগুলি হল: “আলোকদৃষ্টি”, “জাদুগণ্ডি”, “ব্যর্থতপস্যা”, “পরকীয়া সন-ইন-ল”, “তিলোত্তমা সংস্কৃতি সংঘ”, “জোড়কলম”, “বায়োকেমি”, “শেষ সংখ্যান”, “গোঁজ” ও “সরমা”।

জার্নাল

সত্যি ভ্রমণকাহিনী (সেপ্টেম্বর, ১৯৫১): বেঙ্গল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত।

অনূদিত গ্রন্থ

জাগরী (হিন্দি অনুবাদ: নারায়ণপ্রসাদ বর্মা; জুলাই, ১৯৪৮): বিহার সাহিত্য ভবন থেকে প্রকাশিত। বইটির ভূমিকা লিখে দেন সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।

দ্য ভিজিল, (ইংরেজি অনুবাদ: লীলা রায়; মার্চ, ১৯৬৫): জাগরী উপন্যাসের অনুবাদ। ইউনেস্কোর উদ্যোগে এশিয়া পাবলিশিং হাউস থেকে প্রকাশিত হয়।

ঢোঁড়াই চরিত মানস (হিন্দি অনুবাদ: গঙ্গাধর মধুকর; ১৯৭৪)

Share:

Post a Comment

Copyright © SAAP Publication.